চট্টগ্রাম পোর্টে পণ্য ডিক্লারেশন করার সঠিক নিয়ম

চট্টগ্রাম পোর্টে পণ্য ডিক্লারেশন করার সঠিক নিয়ম


Posted on: 2022-07-07 15:35:03 | Posted by: eibbuy.com
চট্টগ্রাম পোর্টে পণ্য ডিক্লারেশন করার সঠিক নিয়ম

আমরা অনেকেই চট্টগ্রাম পোর্টে পণ্য ইমপোর্ট করে থাকি । খুব কম রেটে চট্টগ্রাম পোর্টে পণ্য আমদানি করা যায় । সম্প্রতি চট্টগ্রাম পোর্টে কিছু নিয়ম কানুন নতুন করে সরকার তৈরি করেছেন যে নিয়মকানুন গুলোর কারণে অনেকেই বিশাল বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন । আজকে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবো। কিভাবে আপনারা চট্টগ্রাম পোর্ট এর পণ্য ডিক্লারেশন করলে আর ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না।


নতুন একটা আইন চট্টগ্রাম পোর্টে সরকার থেকে করা হয়েছে । আইনটি হচ্ছে, আপনি যদি কোনো আমদানিকারক হন এবং আপনি আপনার এলসিতে যদি কোন ভ্যালু, এইস এস কোড ডিক্লারেশন করেন বা কোন ইনফরমেশন যেটাই ডিক্লারেশন করেন না কেন ওই ডিক্লারেশন অনুযায়ী কাস্টমের প্রোডাক্টটা ক্লিয়ারেন্স করতে হবে ।


এখানে ব্যাপার হচ্ছে যে আমরা কেউই এমন কোন অভিজ্ঞ নয় যে আমরা আমদানি রপ্তানি ব্যবসা নিয়ে সব কিছু জানবো বা সবকিছু জানা থাকতে হবে যদি । আবার যদি আমরা প্রথম ইমপোর্ট করি, সেক্ষেত্রে তো এটা জানা থাকাটা খুব কঠিন ব্যাপার হয়ে পড়ে । আমরা একটা প্রোডাক্টের এইচএস কোড কি হতে পারে বা ডিক্লারেশন ভ্যালু কি হতে পারে এই বিষয়গুলো জানা টা অনেক ডিফিকাল্ট আমাদের জন্য।
এজন্যে আমরা অনেক সময় ভুল এইচএস কোড দিয়ে ডিক্লারেশন করি । কিন্তু আগে এটা হতো যে ভুল তথ্য দিয়ে ডিক্লারেশন করা হতো । আবার অনেক সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এইচএস কোড ডিক্লারেশন করে দিতো।


এখন সরকার নতুন আইন করেছে যে, আমদানিকারক যদি কোনভাবে মিসডিক্লারেশন করে,  তবে ট্যাক্স ফাঁকির সমপরিমাণ টাকার ৩০০% জরিমানা করা হবে। ধরুন আপনি কোন পণ্য ১% এ ডিক্লার করলেন কিন্তু সে পণ্য এসেসমেন্ট হবে ১০% এ, তাহলে সরকার বাকি ৯% এর তিন গুন ২৭% ট্যাক্স দিতে হবে।
এখন এই জরিমানার ফাঁদে পড়ে অনেকের একদম জীবন সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে ।  একটা উদাহরণ দেই কিছুদিন আগে একজন হচ্ছে আমাকে দিয়ে একটা প্রোডাক্ট ক্লিয়ারেন্স এর জন্য বলেন চট্টগ্রাম পোর্টে । সেখানে প্রোডাক্টের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০০০০ কেজি।  প্রতি কেজি এসেমেন্ট ভ্যালু ২.৮ ডলার।
১০০০০ কেজির এসেসমেন্ট ভ্যালু ২৮০০০ ডলার। ২৮০০০ ডলারের ১১.৫% ট্যাক্স হিসাবে টোটাল ট্যাক্স হবে ২৮৬০০০ টাকা প্রায়। কিন্তু তার পণ্য প্রকৃতপক্ষে এসেসমেন্ট হবে ৩৯%।  তার মানে হচ্ছে উনি ২৭.৫% কর ফাঁকি দেওয়ার চিন্তা করেছেন ।


এখন উনাকে এই ট্যাক্স ফাকির জন্য ২৮০০০ ডলারের ২৭.৫% এর ৩ গুন মানে ৮২.৫% মানে ২১ লাখ টাকার মত জরিমানা আর মূল ট্যাক্স ৩ লাখ ২৪ লাখ টাকা ট্যাক্স আসবে।  


এই যে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন উনি, এই কারণে উনার ব্যবসাটা কিন্তু ডাউন হয়ে যাবে।  যে কোন পণ্য আমদানি করার আগে ট্যাক্সের এই বিষয়গুলো আপনাদেরকে আগে জানতে হবে । আপনার প্রোডাক্টের আসল ট্যাক্স কত এবং কোন কোডে আপনি পণ্য ডিক্লারেশন দিবেন।


এখন আপনাদের কে বলব যে কিভাবে আপনারা জানবেন আপনার পণ্যের অরজিনাল ট্যাক্স কত এবং কোন এইস এস কোডে আপনারা ডিক্লারেসন দিবেন। যেকোনো প্রডাক্টের ক্ষেত্রে ট্যাক্স নির্ধারণ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রথমে আপনার নিজের যে সাপ্লায়ার আছে তার থেকে এইস এস কোড নিতে হবে।
এর পরের কাজ হচ্ছে আপনি কাস্টম ট্যারিফ যে বইটি রয়েছে সেটিতে দেখবেন যে আপনার এইস এস কোডের ট্যাক্স কত। সেই কোডের হিসাব অনুযায়ী আপনার অরজিনাল ট্যাক্স কত আসতে পারে । আপনার প্রোডাক্টের নামের সাথে এইচ এস কোড এর ডেসক্রিপশনের সাথে মিল রয়েছে কিনা । যদি সবকিছু ঠিক থাকে তার পর আপনার কাজ হচ্ছে ভাল কোন সি এন্ড এফের সাথে যোগাযোগ করা ।


তাকে বলবেন যে আমরা এই প্রোডাক্টটা চট্টগ্রাম পোর্ট দিয়ে আমদানি করতে চাচ্ছি । এটার সঠিক কোড আর ট্যাক্স কি হতে পারে। সেইসাথে আপনাকে অবশ্যই ডাটাশিট নিতে হবে । ডাটাশিট ছাড়া আপনি এই কাজটা করতে পারবেন না । ডাটা শিট এর জন্য সেখানে কিছু টাকা খরচ হয় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।  এরপরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে আপনার প্রোডাক্ট যে গ্রুপে এসেসমেন্ট হবে সেই গ্রুপ থেকে ও খবর নিয়ে জানা যায় যে প্রকৃতপক্ষে আপনার গ্রুপে এই প্রোডাক্টটা আসলে কোন এইস এস কোডে যাবে।  

সব কিছু ঠিক থাকলে আপনি পণ্য ডিক্লার করে আমদানি করবেন।


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:

Comment as:

alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js